সুনামগঞ্জ শহরের ছয়টি পয়েন্ট দিয়ে প্রবল বেগে ঢুকছে পানি

সুনামগঞ্জ শহরের ছয়টি পয়েন্ট দিয়ে প্রবল বেগে ঢুকছে পানি

রয়েল ভিউ ডেস্ক:

উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে সুনামগঞ্জের নদ নদীতে পানি বেড়েছে। জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি কূল উপচে নিম্নাঞ্চলে ঢোকা শুরু হয়েছে। সুনামগঞ্জ শহরের ছয়টি পয়েন্ট দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে শহরে।

সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগরের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা দিয়ে, ধোপাখালি স্লুইসগেট, কাজীর পয়েন্ট, উকিলপাড়া, উত্তর আরপিননগর ও তেঘরিয়া এলাকায় সুরমা উপচে পানি ঢুকছে।

নবীনগর, ধারারগাও, জেলরোড, উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া ও বড়পাড়া এলাকার সড়কে এবং কিছু ঘরবাড়িতে ও পানি ওঠেছে। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের ইব্রাহিমপুর, সদরগড়, জগন্নাথপুর, মঈনপুরসহ নদীরপাড়ের গ্রামগুলোর নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি ওঠেছে।

বিশ^ম্ভরপুর, দোয়ারা, তাহিরপুর ও ছাতকের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ছাতক—গোবিন্দগঞ্জ সড়কে পানি ওঠায় ছাতকের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ—বিভাগীয় প্রকৌশলী ইরফানুল ইসলাম জানালেন, পাশ^র্র্বতী দেশ ভারতের মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে এবং সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণ হয়েছে। চেরাপুঞ্জি—মেঘালয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৯ মিলিমিটার এবং সুনামগঞ্জে ১০২ মিলিমিটার এবং ছাতকে ১৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এ কারণে সুনামগঞ্জের সকল নদনদীতে পানি বেড়েছে। সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় ৮.১৫ সেন্টিমিটার অর্থাৎ বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং ছাতকে ৯. ৭৩ সেন্টিমিটার অর্থাৎ বিপদ সীমার ১.৬২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল নদীর পানি। তিনি জানান, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এসব এলাকায় ভারী বর্ষণ হবে।

জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, ছাতকের দুই হাজার পাঁচশ’ বাড়িঘরে পানি ওঠেছে। দোয়ারাবাজার, বিশ^ম্ভরপুর ও তাহিরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি। ছাতকের তিনটি স্কুলকে এবং দোয়ারাবাজারের একটি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। ছাতক, দোয়ারা, তাহিরপুর ও বিশ^ম্ভরপুরে পাঁচ টন করে ২০ টন চাল এবং ছাতক, দোয়ারায় এক লাখ করে এবং বিশ^ম্ভরপুরে ৫০ হাজার নগদ টাকা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছে। কোথাও কেউ পানিবন্দি হলে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।