ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা : সবুজ সিলেট সম্পাদক মুজিব ২ দিনের রিমান্ডে 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা : সবুজ সিলেট সম্পাদক মুজিব ২ দিনের রিমান্ডে 

স্টাফ রিপোর্টার : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সবুজ সিলেট সম্পাদক মুজিবুর রহমানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতের বিচারক মো. সাইফুর রহমান শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শামসুল হাবিব সিলেটের ডাককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ২ দিন মঞ্জুর করেছেন। তবে, তাকে রিমান্ডের জন্যে সিআইডি হেফাজতে এখনো আনা হয়নি। তাকে ঢাকা ও সিলেটের পৃথক ৪ মামলায় শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। ঢাকার এক মামলায় তার বিরুদ্ধে আরেক আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

আদালত ও সিআইডি সূত্র জানায়, এসএমপির শাহপরান (রহ:) থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় মুজিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে রিমান্ডের আবেদন নিয়ে শুনানী হয়। শুনানীতে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা অংশ নেন। শুনানী শেষে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে গত ১২ জুলাই মঙ্গলবার যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে গ্রেফতার হন মুজিব। ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওইদিন তিনি বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পৌঁছেন। এ সময় ইমিগ্রেশনের বহির্গমন কর্মকর্তা তার পাসপোর্ট কম্পিউটারে স্ক্যানারে দিলে মুজিবুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে মুজিবকে আটক করে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে শাহপরান (রহ:) থানার পুলিশ ও সিআইডিকে মুজিব আটকের বিষয়টি জানানো হয়। পরদিন বুধবার সিআইডির একটি টিম যশোর থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিলেটে নিয়ে এসে আদালতে উপস্থাপন করে। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে উপস্থাপনকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

শাহপরান (রহ:) থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, গত বছর সবুজ সিলেট পত্রিকায় ‘সিন্ডিকেটের কবলে সিলেটের আদালতপাড়া’সহ বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। অনলাইন অনুমোদন না থাকার পরেও মুজিবুর রহমান তার নিজের আইডিতে সংবাদটি শেয়ার করেন। ওই সংবাদে মারজান নামের এক ব্যক্তির নামও ছিল। মারজান বাদী হয়ে গত বছরের ১৭ অক্টোবর শাহপরান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর -১০)। প্রথমে মামলাটি থানাপুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তীতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিতে হস্তান্তর করে পুলিশ সদর দপ্তর। মামলার নথিপত্র সিআইডি বুঝে পাওয়ার আগেই আসামি মুজিবুর রহমান যাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন এজন্যে সকল বিমানবন্দর-স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে চিঠি দেয় শাহপরান (রহ:) থানাপুলিশ।
কোতোয়ালি থানার জিআরও উপ-পরিদর্শক মো. জানু মিয়া জানান, তার বিরুদ্ধে মোট ৪টি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি ছিল। এর মধ্যে দুটি মামলা রাজধানী ঢাকার ও দুটি মামলা সিলেটের। সিলেটের দুটির মধ্যে একটি জিআর মামলা ও অপরটি সিআর মামলা। ৪ মামলায় তাকে শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানোর জন্যে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।