নবীগঞ্জে সামাদের লাশ দাফন খুলছে না রহস্যের জট

নবীগঞ্জে সামাদের লাশ দাফন খুলছে না রহস্যের জট

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : নবীগঞ্জের পল্লীতে এক সন্তানের জনকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নানা রহস্য দানা বেঁধেছে। ২য় স্ত্রীর পিতার বাড়ির আঙ্গিনায় উদ্ধারকৃত লাশ নিয়ে এলাকায় ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতেই নিহতের লাশ দাফন করা হয়। 

ঘটনাটি ঘটেছে নবীগঞ্জ উপজলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সারং বাজার এলাকায়। নিহত যুবক আব্দুল সামাদ (৩০)। সে একই ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামের মৃত আকলাছ মিয়ার পুত্র।
তার পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আর পুলিশ বলছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাবে না এটি হত্যা না আত্মহত্যা। 
সূত্রে জানা যায়, আব্দুল সামাদ সিলেটের একটি রেস্টুরন্টে কাজ করতেন। সে এক সন্তানের জনক। সুন্দরই চলছিল সংসার। ১ম স্ত্রীও তার বাড়িতে রয়েছে। এরই মাঝে  তিনি প্রেমে পড়ে যান সারংবাজার এলাকার সালমা বেগমের সাথে। অবশেষে চলতি বছরের শুরুর দিকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা । এরপর স্ত্রী সালমাকে নিয়ে চট্টগ্রামে চলে যান সামাদ। সেখানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী শুরু করেন সামাদ। এরই মাঝে তাদের মধ্যে মনমালিন্য দেখা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ স্ত্রী সালমা চট্টগ্রাম থেকে চলে আসেন পিত্রালয়ে। এর কয়েকদিন পরই সামাদকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন সালমা। 
সামাদের পরিবারের লোকজন জানান, সামাদ কল দিয়ে জানায় সোমবার চট্টগ্রাম থেকে সে আসবে। তার স্ত্রী সালমা কল দিয়ে বলছে সে আসার জন্য। সে বাড়ি আসলে সালমা আবার তার সাথে চট্টগ্রাম চলে যাবে। এরপর তার পরিবারের কারো সাথে তার আর যোগাযোগ হয়নি। 
এদিকে, গত মঙ্গলবার সকালে তার স্ত্রী সালমার পিতার বাড়ির পাশের একটি গাছের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশ পাওয়া যায় সামাদের। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন। 
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকেরা পরিকল্পনা করে ফোনে ডেকে এনে হত্যা করে তাকে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। 
গত মঙ্গলবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে রাত ৮ টায় জানাযার নামাজের পর গ্রামের কবরস্থানে লাশটি দাফন করা হয়। 
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ডালিম আহমেদ জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।