ন্যায়ের পক্ষে ‘হৃদয়ে ৭১’ অবিরাম নীতিতে বিশ্বাসী -------অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন

ন্যায়ের পক্ষে ‘হৃদয়ে ৭১’ অবিরাম নীতিতে বিশ্বাসী -------অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন

রয়েল ভিউ ডেস্ক: বিজয়ের মাস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘হৃদয়ে ৭১’ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট মহানগরীর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের হল রুমে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ‘হৃদয়ে ৭১’-এর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।
ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আহমদ জেসির সভাপতিত্বে ও নির্বাহী সচিব সোহানুর আলী মিরাজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘হৃদয়ে ৭১’ সংগঠনটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লালন-পালন করে থাকে। সেই লক্ষ্যে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। তবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও চেতনার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারছে না। যেমনি সংগঠনের সফলতা তেমনি ব্যর্থতাও রয়েছে।
তিনি বলেন, একঝাঁক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে কয়েক বছর আগে সংগঠনটি গঠন করা হয়। সংগঠনটি ব্যক্তিস্বার্থ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে না। জাতির দূর্বিপাকে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার কাজ করে কর্মী তৈরি করতে চায়। ন্যায়ের পক্ষে ‘হৃদয়ে ৭১’ অবিরাম নীতিতে বিশ্বাসী। সভায় জাকির হোসেন ফাউন্ডেশনে আগের মতো নিয়মিত পাঠচক্র চালু করারও নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস চর্চায় উৎসাহিত করতে সংগঠনটি কাজ করছে।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক রেজাউল হক রাসেল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য সিতার মিয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই আল হাদী, ‘হৃদয়ে-৭১’র সিলেট জেলার সাবেক সভাপতি আহমদ হামজা চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক রুহুল ইসলাম মিঠু, সিলেট জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মফিজুর রহমান মফিজ, প্রভাষক রণবীর চৌধুরী, মহানগর যুবলীগ নেতা সামন্ত ধর, সিরাজুল ইসলাম মিরাজুল, মামুন আহমদ, সংগঠক আবু বকর পারভেজ, ডালিম চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল এমাদ, রুবেল আহমদ, তাহমিদ হাসান শুভ, রুবেল আহমদ, সৈয়দ এমদাদুল হক ফাইম, নিতিশ রজ্জন অপু, আহমেদ ফাইম, নৌশিক ভৌমিক, ইবনে সানী, আবদুর রহমান, শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় শোক প্রস্তাবে ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধে নিহত এবং বিগত দিনে করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।