পঞ্চম ধাপের নির্বাচন : সিলেট বিভাগে নৌকার জয় জয়কার

পঞ্চম ধাপের নির্বাচন : সিলেট বিভাগে নৌকার জয় জয়কার

স্টাফ রিপোর্টার : বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার সিলেট বিভাগের ৭৫ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে জকিগঞ্জের কাজলসার এবং  সুলতানপুর ইউনিয়নের গণিপুর ভোট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তীতে কাজলসার ইউনিয়ন ও সুলতানপুর ইউপির গণিপুর কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
গত রাত সাড়ে ১২ টায় ৬৩ টি ইউনিয়নের প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ২৬, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ১৩, বিএনপি সমর্থিত ১২, জামায়াত সমর্থিত ৫, জমিয়ত সমর্থিত ২, জাতীয় পর্টি সমর্থিত ১ এবং স্বতন্ত্র ৪ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
জকিগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : জকিগঞ্জে পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ ইউপিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, ১টিতে জাতীয় পার্টি সমর্থিত এবং ১টিতে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তবে, কাজলসার ইউনিয়ন থেকে নৌকায় সীল মারা ব্যালটসহ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাদমান সাকীবকে ও রির্টানিং কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতারের ঘটনায় কাজলসার ইউপির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া, সুলতানপুর ইউপির গণিপুর ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইর ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তীতে কাজলসার ইউপিতে ও সুলতানপুর ইউপির গণিপুর ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
গতকাল সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণের পর থেকে টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। রাত ১১টায় উপজেলা কন্ট্রোল রুম থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে বারহাল ইউপিতে জামায়াত ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র স্বতন্ত্র প্রার্থী বুরহান উদ্দিন রনি। বিরশ্রী ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি’র স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম চৌধুরী পানু, খলাছড়া ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাপা নেতা আব্দুল হক বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগ প্রার্থী কবির আহমদ। জকিগঞ্জ সদর ইউপিতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মাওলানা আফতাব আহমদ বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ি বিএনপি’র স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসান আহমদ। সুলতানপুর ইউপির একটি ভোট সেন্টারের ফলাফল স্থগিত রয়েছে। স্থগিত কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৮৪১ জন। আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ৯ ভোট কেন্দ্রে ৩৮১৫ ভোট ও বিএনপি’র স্বতন্ত্র প্রার্থী ২৯৯০ ভোট পেয়েছেন। ফলে কে হবেন চেয়ারম্যান তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। ঐ ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল পাওয়া যাবে। বারঠাকুরী ইউপিতে এ নিয়ে টানা ৩বার বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপু, তার নিকটতম বিএনপি’র নাসির উদ্দিন নসির। কসকনকপুর ইউপিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র আলতাফ লস্কর। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ। মানিকপুর ইউপিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু জাফর মো. রায়হান। তার নিকটতম বিএনপি’র স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর শাহ চৌধুরী হেলাল।
কানাইঘাট (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোন ধরনের অপ্রীতির ঘটনা ছাড়াই কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী কানাইঘাটে আওয়ামী লীগ ২, বিদ্রোহী ১, জমিয়ত ২, জামায়াত সমর্থিত ৩ এবং বিএনপির ১ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। 
লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তমিজ (নৌকা), লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নে জমিয়ত সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা জামাল উদ্দিন (খেজুরগাছ), দিঘীরপাড় পূর্ব ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রাার্থী আব্দুল মুমিন চৌধুরী মুহিন (মোটর সাইকেল), সাতবাঁক ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আবু তায়্যিব শামীম (চশমা), বড়চতুল ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল মালিক চৌধুরী (আনারস), সদর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী আফছার আহমদ চৌধুরী (নৌকা), দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মাস্টার লোকমান আহমদ (মোটর সাইকেল), ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রহমান (চশমা প্রতীকে) এবং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে জমিয়ত সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা শামসুল ইসলাম (খেজুরগাছ) প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
শাল্লা (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, শাল্লা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ৪টি ইউনিয়নের দুইটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, একটিতে বিএনপি সমর্থিত এবং একটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
আটগাঁও ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আন নোমান আনারস প্রতীকে ৭১৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এমদাদুল হক নৌকা প্রতীকে  পেয়েছেন ৫৯২৯ ভোট।
হবিবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র সুবল চন্দ্র দাস আনারস প্রতীকে ৭৫৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রঞ্জিৎ কুমার দাস নৌকা প্রতীকে পেয়েছন ৭১৪৩ ভোট।
বাহাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ঘোড়া প্রতীকে ১০১৫৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজল বরণ চৌধুরী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫১৫৯ ভোট।
শাল্লা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুস ছাত্তার মিয়া নৌকা প্রতীকে ৭৯৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল লেইছ চৌধুরী আনারস  প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬৩৫ ভোট।
জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় ৫ম ধাপের ৪টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। চারটি ইউনিয়নের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ২টি, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রাার্থী ২ টিতে বিজয়ী হয়েছে। উপজেলার চার ইউনিয়নের মোট ৪২ টি কেন্দ্রে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপজেলার চার ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৮২ হাজার ২৪৪।
বেহেলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুব্রত সামন্ত সরকার ৩ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী  ফয়েজ আহমদ (দুটিপাতা) পেয়েছেন ২ হাজার ১১২ ভোট। 
ফেনারবাঁক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজল চন্দ্র তালুকদার (নৌকা প্রতীক) ৬ হাজার ২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুলফিকার চৌধুরী রানা (মোটরসাইকেল) প্রতীকে  পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৭ভোট।
ভীমখালী ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান তালুকদার (ঘোড়া) ৬ হাজার ৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আক্তারুজ্জামান শাহ (নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৯৮ ভোট।
সাচনাবাজার ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাসুক মিয়া (ঘোড়া) ৫ হাজার ৫২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সায়েম পাঠান (নৌকা) পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৪৫ ভোট। উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম  এতথ্য নিশ্চিত করেন।
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭ টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়লাভ করেছে। অন্য ২ ইউনিয়নের ১টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র ও ১টি ইউনিয়নে নির্দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছেন।
বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীরা হলেন,
মির্জাপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে মিজলু আহমেদ চৌধুরী। ভূনবীর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মো. আব্দুর রশীদ, শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের মো. দুধু মিয়া, সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে ইয়াছিন আরাফাত রবিন, কালাপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মুক্তিযোদ্ধা এম এ মতলিব, আশিদ্রোন ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে রনেন্দ্রপ্রসাদ বর্ধন জহর, রাজঘাট ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে বিজয় বুনার্জী, কালিঘাট ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে প্রাণেশ গোয়ালা ও সাতগাঁও ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে দেবাশীষ দেব রাখু।
কমলগঞ্জ (মৌলভী বাজার) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নে মো. জুয়েল আহমদ(ঘোড়া)-৭ হাজার ৭৮২ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মালিক বাবলু (নৌকা)-৭ হাজার ৪১১ ভোট। আলীনগর ইউনিয়নে নিয়াজ মুর্শেদ রাজু (আনারস) পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৯২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলুল হক বাদশা (নৌকা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট।
আদমপুর ইউনিয়নে আবদাল হোসেন (ঘোড়া) পেয়েছেন ৭ হাজার ৫০৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাব্বির আহমদ ভূইয়া (নৌকা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৯০৬ ভোট। মাধবপুর ইউনিয়নে মো. আশিদ আলী (নৌকা) পেয়েছেন ৮ হাজার ৯১৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পুষ্প কুমার কানু(সিএনজি) পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৮৫ ভোট। ইসলামপুর ইউনিয়নে মো. সুলেমান হোসেন (নৌকা) পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল হান্নান(আনারস) পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩০ ভোট।
পতনউশার ইউনিয়নে অলি আহমদ খান (আনারস) পেয়েছেন ৩ হাজার ৯১৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৌফিক আহমদ বাব ু(নৌকা) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৯০ ভোট। মুন্সিবাজার ইউনিয়নে নাহিদ আহমদ তরফদার(আনারস) পেয়েছেন ৪ হাজার ১৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রানা ভট্টাচার্য (নৌকা) পেয়েছেন ৩ হাজার ৫১৫ ভোট। রহিমপুর ইউনিয়নে ইফতেখারুল ইসলাম বদরুল (নৌকা) পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৬২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুনেল আহমদ তরফদার(ঘোড়া) পেয়েছেন ৮ হাজার ৬৪৫ ভোট।
সদর ইউনিয়নে মো. আব্দুল হান্নান (নৌকা) পেয়েছেন ৫ হাজার ২৫৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম কিবরিয়া শফি(মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪ হাজার ৫০২ ভোট।
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকে সংবাদদাতা জানান, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০ চেয়ারম্যান পদে নতুন মূখ নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার চার প্রার্থী, নৌকার বিদ্রোহী তিন জন, স্বতন্ত্রের মোড়কে বিএনপির দুই জন ও জামাতের এক প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলার ৪ নং পাইকপাড়া ইউনিয়নে ওয়াহেদ আলী মাস্টার, ৮ নং সাটিয়াজুঁড়ী ইউনিয়নে আব্দালুর রহমান আব্দাল, ৯ নং রানীগাঁও ইউনিয়নে মোস্তাফিজুর রহমান রিপন ও ১০ নং মিরাশী ইউনিয়নে মানিক সরকার। বিএনপির ১ নং গাজীপুর ইউনিয়নে মোহাম্মদ আলী, ৭ নং উবাহাটা ইউনিয়নে জেলা সেচ্চাসেবক দল নেতা  এজাজ ঠাকুর চৌধুরী, ৫ নং শানখলা ইউনিয়নে জামাত নেতা এডভোকেট নজরুল ইসলাম, ৩ নং দেওরগাছ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ মুহিতুর রহমান রোমন ফরাজী, ৬ নং সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নোমান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেন পলাশ বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মাধবপুরের ১১ ইউপির ৯টিতে নৌকা হার 
মাধবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ২টিতে নৌকা, ৩টিতে নৌকার বিদ্রোহী ও ৬টিতে স্বতন্ত্র মোড়কে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচিতরা হলেন- ১নং ধর্মঘর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক আহমেদ পারুল (আনারস), ২নং চৌমুহনী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান সোহাগ (ঘোড়া), ৩নং বহরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো: আলাউদ্দিন (নৌকা), ৪নং আদাঐর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম (চশমা), ৫নং আন্দিউড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আতিকুর রহমান আতিক (নৌকা), ৬নং শাহজাহানপুর ইউনিয়নে নিয়ে বিএনপি নেতা পারভেজ হোসেন চৌধুরী (চশমা), ৭নং জগদীশপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ খান (সিএনজি অটোরিকশা), ৮নং বুল্লা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মিজানুর রহমান মিজান (আনারস), ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নে বিএনপি নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (আনারস), ১০নং ছাতিয়াইন ইউনিয়নে বিএনপি নেতা মিনহাজ উদ্দিন কাসেদ (ঘোড়া) ও ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়নে নিয়ে শাহাবুদ্দীন আহমদ (ঘোড়া) বিজয়ী হয়েছে।