প্রার্থিতা ফিরে পেলেন মোকাব্বির-দুলালসহ ৫ জন

প্রার্থিতা ফিরে পেলেন মোকাব্বির-দুলালসহ ৫ জন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বাতিলের পর প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খানসহ ৫ প্রার্থী। তাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালও। 

গত দুই দিনের আপিল শুনানি শেষে সিলেট জেলার বিভিন্ন সংসদীয় আসনের এসব প্রার্থি তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। 

মনোনয়ন ফিরে পাওয়া প্রার্থীরা হলেন, সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, সিলেট-২ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির, সিলেট-৩ আসনে ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী মইনুল ইসলাম, সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন।

সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন বিএমএ সভাপতি ও আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে তাঁর প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিজের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম।কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় এবং দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা উন্মুক্ত করায় আমি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিই। কিন্তু এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সঠিক নয় বলে পারস্পারিক যোগসাজশে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আমার বিরুদ্ধে এখানে একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিল। কিন্তু আজ আপিল শুনানিতে নির্বাচন কমিশন আমার মনোনয়নপত্রের বৈধতা দিয়েছেন।’

এর আগে সোমবার প্রার্থীতা ফিরে পান সিলেট-২ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান।

তিনি বলেন, ‘শুনানি শেষে সোমবার বিকেলে আমার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশন।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় আমার এলাকার মানুষ খুব খুশি হয়েছে। তারা ভোট দেওয়ার জায়গা হারানোর যে শঙ্কায় ছিলেন তা কেটেছে।’

একইভাবে সিলেট-২ আসনের আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির, সিলেট-৩ আসনে ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী মইনুল ইসলাম, সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন তাদের মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন।