রাবেয়া খাতুন চৌধুরী বেঁচে থাকলে সমাজসেবায়  আরো অবদান রাখতেন: এমপি হাবিব

রাবেয়া খাতুন চৌধুরী বেঁচে থাকলে সমাজসেবায়  আরো অবদান রাখতেন: এমপি হাবিব

স্টাফ রিপোর্টার : শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় গতকাল মঙ্গলবার পালিত হয়েছে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা, মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর সপ্তদশ মৃত্যুবার্ষিকী।

গতকাল সকাল থেকেই শহরতলীর রাগীবনগরে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অসংখ্য মানুষ জমায়েত হন তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে। মানব দরদী এ মহীয়সী নারীর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে মোনাজাত করেন অনেকে । অনেকেই রাবেয়া খাতুন চৌধুরীকে স্মরণ করতে গিয়ে নীরবে ফেলেছেন চোখের জল। শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পাশাপাশি সেখানে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল। এতে মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশ বরেণ্য শিল্পপতি দানবীর ড. রাগীব আলীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

এদিকে, লিডিং ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে গতকাল সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগীব আলী ভবনের গ্যালারি-১ এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী ছিলেন দানবীর ড. রাগীব আলীর অন্যতম প্রেরণাদাতা। তাঁরা সিলেট তথা সারাদেশের গর্ব। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই লিডিং ইউনিভার্সিটিসহ তাদের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুনাম দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। 

মানবসেবায় নিবেদিত প্রতিষ্ঠান রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, দৈনিক সিলেটের ডাক এর সম্পাদক আব্দুল হাই, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সদস্য মিসেস সাদিকা জান্নাত চৌধুরী, লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ও লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আবেদ হোসেন, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বিশিষ্ট সমাজসেবী মোজাহিদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক। 

এমপি হাবিব তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, শিক্ষা, চিকিৎসা, সাংবাদিকতাসহ সমাজসেবামূলক অসংখ্য জনহিতকর কাজে রাগীব আলীর সহযোদ্ধা ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী। এ মহীয়সী নারী বেঁচে থাকলে সমাজসেবায় আরো অনেক অবদান রাখতে পারতেন। তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালে হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এএসসি কৃতকার্যদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী। শিক্ষার অগ্রযাত্রায় এই অনুপ্রেরণা আজো তাঁর স্মৃতিতে অম্লান হয়ে আছে বলে উল্লেখ করেন। 

তিনি আরো বলেন, দানবীর ড. রাগীব আলী ও তাঁর গুণবতী সহধর্মিণী বেগম রাবেয়া খাতুনের প্রচেষ্টায় কামালবাজারের মতো অজো পাড়াগাঁ আজ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে। ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে তাদের অর্থায়নে নির্মিত ব্রিজটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজন হলেও আগের ব্রিজটিকে অক্ষত রেখে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে অচিরেই কামালবাজার এলাকায় নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণ ও মেরামত করা হবে বলেও জানান তিনি। দানবীর ড. রাগীব আলী ও মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত লিডিং ইউনিভার্সিটির সুনাম ও সুখ্যাতি ধরে রাখতে এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান এমপি হাবিব।

আলোচনা সভায় লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, মা হারানোর বেদনা আমি প্রতিটি মুহূর্তে অনুভব করি। তিনি বলেন, আমার মা বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী একজন বিশাল উদার মনের মানুষ ছিলেন। মহান আল্লাহপাক মহীয়সী এ নারীকে যেন জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন এ জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন । 
রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, মানুষকে অমরত্ব দান করে তার কর্ম। মানুষ সেই আলোকিত ব্যক্তিদের স্মরণ করে যুগ যুগ ধরে। যেমনটি আজ মহীয়সী নারী রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর বেলায় হচ্ছে। তিনি মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। 

আলোচনা সভায় লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক বলেন, মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী আজ আমাদের মাঝে স্মৃতি। জীবদ্দশায় তিনি শুধু দানবীর রাগীব আলীর সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন তাঁর সকল মহৎ কর্মযজ্ঞের এক সরব ও প্রাণবন্ত উৎসাহদাত্রী। 

জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আবেদ হোসেন বলেন, জীবদ্দশায় মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী ছিলেন অতি কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তাঁর মৃত্যুর পর চা বাগানের শ্রমিক থেকে সাধারণ মানুষ কান্নাকাটি করে বলেছে, তারা তাদের মাকে হারিয়েছে। মানবপ্রেমী সমাজসেবী এ নারী অতি সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

বেগম রাবেয়া খাতুন সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক বলেন, দানবীর ড. রাগীব আলীর সমাজসেবার প্রেরণা ছিলেন রাবেয়া খাতুন চৌধুরী। রাবেয়া খাতুন চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক কিছু করে গেছেন। একসময় মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিলেন। সিলেটের মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে প্রথমে এগিয়ে আসেন বাগীব-রাবেয়া দম্পতি। যেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

দৈনিক সিলেটের ডাক এর নির্বাহী সম্পাদক বিশিষ্ট গবেষক আবদুল হামিদ মানিক বলেন, সমাজে এমন কোনো শাখা নেই, যেখানে রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর অবদান নেই। রাগীব-রাবেয়া দু’জনেই উদার মনের মানুষ। মানবসেবায় তাদের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। সকল ক্ষেত্রেই তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। মহৎ কর্মের ভেতর দিয়ে বেগম রাবেয়া খাতুন আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।  

লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী নারী শিক্ষার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। হাওর এলাকায় গড়ে তুলেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য মানবসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। 
বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী বলেন, মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী অত্যন্ত সহজ-সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। আমি তাকে দেখেই সাদাসিধে জীবন যাপনে উৎসাহিত হয়েছি। তিনি মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। 
বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর জীবন ও কর্মের উপর অনুষ্ঠানে  আরো বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোয়েব আহমদ, বিশিষ্ট কবি এবং লেখক একে আজাদ চৌধুরী, লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ডা. সাদিয়া মালিক চৌধুরী, দৈনিক সিলেটের ডাক এর প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের, বার্তা সম্পাদক সমরেন্দ্র বিশ্বাস সমর, টুকের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক দেওয়ান তৌফিক মজিদ লায়েক, আক্তারুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পদস্থ কর্মকর্তা মো. আহমদ আলী, দলই চা বাগানের ম্যানেজার আসগর আলী, রাজনগর চা বাগানের জিএম মো. মহসিন, ডা. শৈলেন্দ্র, হাফিজ সৈয়দ আশ্রাফ আলী, বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের এমডি ফাহিম আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন, ১২ ডিসেম্বর আমার জীবনে স্মরণীয় শোকাবহ দিন। এ দিনে আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারিয়েছি। আমার কাজ কর্মে তিনি ছিলেন আত্মনিবেদিত। তিনি বলেন, যে সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি তা আমার কিংবা রাবেয়া খাতুনের জন্য নয়। মানুষের কল্যাণের জন্যই এই প্রতিষ্ঠানগুলো সুচারুরূপে পরিচালনা করতে হবে। কারণ, আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই গড়া হয়েছে মানুষের মঙ্গলের জন্য। মানুষের জন্যই আমি আমার সবকিছু উৎসর্গ করেছি। এই চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আমি প্রতিষ্ঠানগুলো করেছি, সেই চিন্তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করে যাবো। 

অনুষ্ঠানে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন ও লিডিং ইউনিভার্সিটি কর্তৃক প্রকাশিত মূল্যায়ন ও স্মৃতিচারণমূলক স্মারক ‘আলোর দিশারী রাবেয়া' এবং রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল কর্তৃক প্রকাশিত ‘মানব সেবায় অনন্য প্রাণ এক নারী’ স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। লিডিং ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রভাষক মো. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন সিলেট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সচিব ও লিডিং ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান।

এদিকে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় মরহুমার কবরে দানবীর ড.  রাগীব আলী ও পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান এবং কবরস্থান সংলগ্ন লিডিং ইউনিভার্সিটির জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন লিডিং ইউনিভার্সিটি জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা আব্দুল কাদির। দোয়ার পূর্বে মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর জীবন ও কর্মের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন দৈনিক সিলেটের ডাক এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. এ.কে. এম. দাউদ, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. তারেক আজাদ চৌধুরী, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য দেওয়ান সাকিব আহমেদ, বিশিষ্ট তথ্যচিত্র নির্মাতা আর এস মাল্টিভিশনের সিইও জুলফিকার রহমান সাইদ, সিলেট ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল বাতিন ফয়সল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান, লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ, পরিচালক অর্থ ও হিসাব মোহাম্মদ কবির আহমেদ, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ।

ঢাকায় বেগম রাবেয়া খাতুন 
চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন

ঢাকা অফিস : দেশ বরেণ্য শিল্পপতি ও সমাজহিতৈষী দানবীর ড. রাগীব আলীর সহধর্মিণী, বহুল প্রচারিত দৈনিক সিলেটের ডাক’র সাবেক সফল সম্পাদক, মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিল

গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর ঢাকাস্থ সিলেট টি কোম্পানির মতিঝিল অফিসে অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় মরহুমা রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর বিশেষ অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ ও ড. রাগীব আলীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে সিলেট টি কোম্পানি ও ঢাকাস্থ দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকার সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন।