ব্রিটিশ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করার দাবি বহু দেশে

ব্রিটিশ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করার দাবি বহু দেশে

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণের পরেই প্রথামাফিক তার বড় ছেলে চার্লসের নাম ঘোষিত হয়েছে ব্রিটেনের রাজা হিসেবে। তবে কমনওয়েলথ দেশগুলোতে রাজা তৃতীয় চার্লসের কর্তৃত্ব শুরুতেই প্রশ্নের মুখে। একবিংশ শতকে রাজপরিবারের আর বিশ্ব জুড়ে প্রাসঙ্গিকতা আছে কি না, এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

এখনও কমনওয়েলথভুক্ত ১৪টি দেশে রাষ্ট্রপ্রধান ব্রিটেনের রাজা। দেশগুলো হলো- অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, বেলিজ, কানাডা, গ্রেনাডা, অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, সেন্ট লুসিয়া, টুভালু, সলোমন আইল্যান্ডস, গ্রেনেডিনস, দ্য বাহামাস, নিউজিল্যান্ড, জ্যামাইকা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। এর মধ্যে অনেক দেশে বিদেশি রাজার শাসন নিয়ে আপত্তি উঠেছে।

গত বছর এ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে বার্বাডোস প্রজাতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে। একই ভাবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজ়িল্যান্ড, কানাডা, জামাইকাতেও সুর জোরালো করেছেন রিপাবলিকানরা। তাদের দাবি, সাংবিধানিক রীতি অনুসরণ করে অবিলম্বে রাজতন্ত্রের অবসান হোক।

গত শুক্রবার জ্যামাইকার এক সংবাদপত্রেও রাজতন্ত্র বিলোপের দাবি তোলা হয়। চলতি বছরের শুরুতে এ নিয়ে এক ভোটে দেখা গিয়েছে, অর্ধেকেরও বেশি জ্যামাইকান রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে ব্রিটেনের রাজা বা রানিকে চায় না।

রানির মৃত্যুতে অস্ট্রেলিয়ায় ১৫ দিনের জন্য পার্লামেন্ট সাসপেন্ড করা হলেও প্রজাতন্ত্র সংক্রান্ত বিতর্ক ফের শুরু হবে বলে জানা গেছে। এ বছর জুনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ এ বিষয়ে পদক্ষেপও নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডেও এ বার প্রজাতন্ত্রের দাবি গতি পেতে পারে।

অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন জানিয়েছেন, তিন বছরের মধ্যে দেশকে প্রজাতন্ত্রে পরিণত করার জন্য গণভোট হবে। বেলিজ ইতিমধ্যেই সংবিধান পুনর্বিবেচনার ঘোষণা করেছে। ফিজি-র এক শীর্ষ নেতাও রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভানুয়াতুর নাগরিকেরাও ব্রিটিশ রাজপরিবারের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।