অবেশেষে মামলা এফআইআর ॥ নিরাপত্তাহীনতায় বাদী

বিয়ানীবাজারে আইসক্রীম ফ্যাক্টরি মালিকের উপর হামলা ॥ অর্থ লুট

বিয়ানীবাজারে আইসক্রীম ফ্যাক্টরি মালিকের উপর হামলা ॥ অর্থ লুট

স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ানীবাজার খাসা এলাকায় ব্যবসায়ী মাহমুদুর রহমানের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা ও নগদ অর্থ লুটপাটের ঘটনায় অবশেষে মামলা রেকর্ড হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবার বিয়ানীবাজার থানায় মামলাটি এফআইআর হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে না পারায় মামলার বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমনকি মামলা তুলে নিতে তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে কৌশলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার খাসা নোয়াবাজারে বাদি তার ব্যক্তি মালিকানাধীন আইসক্রীম ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন। এ সময় আমিল হোসেনের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাহমুদুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মাহমুদুর রহমানের ডান হাতের কনিষ্ট আঙ্গুল ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। সন্ত্রাসীরা ফ্যাক্টরি থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা লুটপাট করে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে আহত মাহমুদুর রহমানের আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে ওসমানীতে তার আঙ্গুলে অস্ত্রোপচার করা হয়।

এদিকে, সন্ত্রাসী হামলায় আহত মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় তিনি বিয়ানীবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হোসেন, আলতাফ হোসেন ও জাকিরদের বিরুদ্ধে গত ২৯ মার্চ সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিয়ানীবাজার আমলী আদালত-৪ এ লিখিত দরখাস্ত দাখিল করেন। ঐদিন শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী দরখাস্তটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে পাঁচ দিনে। কিন্তু ‘রহস্যজনক’ কারণে থানায় মামলা রেকর্ড হয়নি। পরবর্তীতে তিনি একই ঘটনায় স্থানীয় আমিল নর মধ্যে এফআইআর রুজু সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণের জন্য বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবার বিয়ানীবাজার থানায় এ মামলা রেকর্ড হয়, মামলা নং ০১।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিয়ানীবাজার থানার এসআই প্রদ্যোৎ রায় বলেন, ইতিমধ্যে দরখাস্তটি এফআইআর পূর্বক প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আসামীদের কোন ছাড় নয়, গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসআই প্রদ্যোৎ আরো বলেন, বাদি চাইলে তার নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।