মানবসেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সবার  সম্পৃক্ততা আমাকে আপ্লুত করেছে : ভারতীয় হাই কমিশনার

মানবসেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সবার  সম্পৃক্ততা আমাকে আপ্লুত করেছে : ভারতীয় হাই কমিশনার

একটি মহৎ কাজের পরিপূর্ণতা দেখে আমি অভিভূত। উমেশচন্দ্র নির্মলাবালা ছাত্রাবাসের এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে। ভারত সরকারের অর্থায়নে নতুন পাঁচতলা ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে সত্য, কিন্তু এর সঙ্গে ছিল সিলেটের মানুষের শ্রম ও ভালোবাসা। বিশেষ করে ছাত্রাবাস পরিচালনা কমিটির সদস্যদের শ্রম, তদারকি ও পরামর্শ। মানব সেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি অলাভজনক কাজে সবার সম্পৃক্ততা আমাকে আপ্লুত করেছে। আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভারত সরকার ও আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। 

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় সিলেটের চালিবন্দরস্থ উমেশচন্দ্র নির্মলাবালা ছাত্রাবাসের পাঁচতলা নতুন ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতের হাই কমিশনার এইচ ই মি. বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এ কথাগুলো বলেন।

ছাত্রাবাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সুষেন্দ্র কুমার পালের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী সদস্য চন্দন দাশের সঞ্চালনায় প্রথমেই পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন ছাত্রাবাস পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ সূত্রধর। অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, পরিচালনা কমিটির সদস্য জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার চন্দন, অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল, দিবাকর ধর রাম, অ্যাডভোকেট বিজয় কুমার দেব, শিবব্রত ভৌমিক চন্দন, কান্তিবন্ধু ব্রহ্মচারী, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা প্রণব দেবনাথ, মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দেব, নিরঞ্জন চন্দ্র চন্দ প্রমুখ। 

অনুষ্ঠান শুরু হয় ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী সংগীতের মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন-ছাত্রাবাস পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি লেখক মনোজ বিকাশ দেবরায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার দেশওয়াল বলেন, পুরনো ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলান হতো না। এখন দূর-দুরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এখান থেকে তাদের শিক্ষা জীবন চালিয়ে যেতে পারবে। তারাও মানবসেবায় অবদান রাখতে পারবে।
সাংস্কৃতিক পর্বে লোকনৃত্য পরিবেশন করে মৌমিতা দাস ও ভজন গেয়ে শোনান সুপ্রিয়া চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথিসহ উপস্থিত সুধীজনরা।   বিজ্ঞপ্তি