মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির প্রতিবাদে  নগরীতে তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ

মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির প্রতিবাদে  নগরীতে তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ
মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির প্রতিবাদে  নগরীতে তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র জ্যেষ্ঠ দুই নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে সিলেট মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তৌহিদী জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে ইসলামি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত হয় নগরীর প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা। 

গতকাল আসরের নামাজের পরপরই কোর্ট পয়েন্টে ‘সিলেটের সচেতন আলেম সমাজ’র ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মসূচিতে সিলেটের আলেম-উলামাসহ বিপুল সংখ্যক নবী প্রেমি জনতা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, আসরের নামাজ শেষে নগরীর বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মজসিদের সামনে থেকে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে সেটি সিলেটের সচেতন আলেম সমাজ’র মানববন্ধনে এসে একাত্মতা পোষণ করে এবং কোর্ট পয়েন্টে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

অপরদিকে, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামিযে ইসলামিয়া সিলেট জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে নগরীর সোবহানীঘাটস্থ হাজি নওয়াব আলী জামে মসজিদের সামনে থেকে বিকেল সাড়ে ৫টায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের নওয়াব আলী জামে মসজিদের সামনে এসে শেষ হয় এবং সেখানে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে বেলা ২টার দিকে জামেয়া মাদানিয়া কাজিরবাজার মাদরাসার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মাদারাসার সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা প্রদক্ষিণ করে সিটি পয়েন্টে এসে মিছিল শেষ হয় এব সেখানে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মসূচিতে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।

এসব কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, প্রতিটি মুসলমানের নিজের জীবনের চাইতেও প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি মহব্বত রয়েছে। তাই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য কোনো একজন মুসলিমও সহ্য করতে পারে না। তাই, ভারতে সম্প্রতি সে দেশের সরকারদলীয় দুই নেতার বক্তব্যে বিশ্বের মুসলিম ফুঁসে উঠেছে। অবিলম্বে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে। সেই বিস্ফোরণের দাবানলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে ভারত। বক্তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, ‘উগ্র ও সন্ত্রাসী মনোভাবাপন্ন ভারতের সঙ্গে সকল অর্থনৈতিক এবং কুটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করুন। এতে বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচয় ও স্বীকৃতি বজায় রাখবে বাংলাদেশ’। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুফতি আহমদ যাকারিয়া, মাওলানা ইকরামুল হক জুনায়েদ ও মাওলানা লুকমান হাকিমের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহিনূর পাশা চৌধুরী, মাওলানা আহমদ সগীর, মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, মুফতি আহমদ যাকারিয়া, মাওলানা মনজুরে মাওলা, মাওলানা রফিকুল ইসলাম জাকারিয়া, মুফতি জিয়াউর রহমান, মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ, মাওলানা রশীদ আহমদ, মাওলানা কবির আহমদ, সাংবাদিক রেজাউল হক ডালিম, মাওলানা আবু সাঈদ মুহাম্মাদ উমর, মাওলানা সাদিকুর রাহমান, মাওলানা সাইফ রাহমান, মাওলানা আদিব আহমদ, মাওলানা শেখ এনাম, মাওলানা এবাদ বিন সিদ্দিক ও আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ। সমাবেশ শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি সায়েম ক্বাসেমী।