যুদ্ধক্ষেত্রে ‘মনোবল বাড়াতে’ শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের পাঠাবে রাশিয়া

যুদ্ধক্ষেত্রে ‘মনোবল বাড়াতে’ শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের পাঠাবে রাশিয়া

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে সেনাদের ‘মনোবল বাড়াতে’ যুদ্ধক্ষেত্রে শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের সমন্বয়ে ‘ফ্রন্ট-লাইন ক্রিয়েটিভ ব্রিগেড’ নামের একটি দল পাঠানো হবে। যারা সেনাদের ‘নৈতিক এবং মানসিক সমর্থন’ দেবে। 

আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক গোয়েন্দা আপডেটেও যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার ‘ফ্রন্ট-লাইন ক্রিয়েটিভ ব্রিগেড’ পাঠানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু সম্প্রতি ইউক্রেনে যুদ্ধরত সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। টেলিগ্রামে এক পোস্টে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, যেসব স্থানে রুশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে সেসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন তিনি। বিশেষ সামরিক অভিযানের আওতাভুক্ত এলাকাগুলোর সামরিক ইউনিটগুলোও ঘুরে দেখেছেন সের্গেই শোইগু। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনজুড়ে রুশ বাহিনীর দুর্বলতার চিত্র যখন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ফুটিয়ে তোলে, এরপরই সেনাদের মনোবল বাড়াতে সের্গেই শোইগুর সফরের বিষয়টি সামনে আসে। 

যুক্তরাজ্য বলছে, নতুন এই ‘ফ্রন্ট-লাইন ক্রিয়েটিভ ব্রিগেড’কে সহায়তায় সাধারণ মানুষকেও অংশ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন তাঁদের বাদ্যযন্ত্র সেনাদের উদ্দেশে দিয়ে দেয়। এসব বাদ্যযন্ত্র সেনাদের মনোবল বাড়ানোর ঐতিহাসিক কাজে ব্যবহৃত হবে। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের পাঠিয়ে সুফল আনা যাবে কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা যুদ্ধে বর্তমানে রুশ সেনারা বিপাকে রয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে—হতাহতের হার খুব বেশি, নেতৃত্বে দুর্বলতা, বেতন নিয়ে সমস্যা, সরঞ্জাম ও গোলাবারুদের অভাব এবং যুদ্ধের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্টতার অভাব।

রুশ আউটলেট আরবিসি নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিয়োগ দেওয়া সেনাদের পাশাপাশি যেসব পেশাদার শিল্পী স্বেচ্ছায় সামরিক চাকরিতে প্রবেশ করেছে তাঁদেরও পাঠানো হবে।