যেসব লক্ষণে বুঝবেন হিপ ফ্রাকচার, কী করবেন?

যেসব লক্ষণে বুঝবেন হিপ ফ্রাকচার, কী করবেন?

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
মানুষের শরীরে কোনো অঙ্গের ক্ষতি বা আঘাতের মধ্যে গুরুতর আঘাত হচ্ছে হিপ ফ্র্যাকচার।  আর এটি এতটাই মারাত্মক হতে পারে যে, এতে প্রাণও হারানোর শঙ্কা থাকে। এ সমস্যার ঝুঁকি বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়তে থাকে।

মূলত হিপ ফ্রাকচার হচ্ছে কোমরের হাড় ফেটে বা ভেঙে যাওয়া। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে এ সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। কারণ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের হাড় দুর্বল হয়ে যায়।  এ ছাড়া একাধিক ওষুধ সেবন, দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়া এবং ভারসাম্যের সমস্যাগুলোর কারণে বয়স্ক ব্যক্তিদের পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর এসব কারণে পড়ে গিয়ে হিপ ফ্র্যাকচার হওয়াটা অন্যতম সাধারণ কারণ।

হিপ ফ্র্যাকচারের জন্য প্রায় সবক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মেরামত বা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়।  আবার অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক থেরাপিতেও ভালো হয়।

অনেকেই কোমরে ব্যথা সহ্য করলেও বুঝতে পারেন না যে এটি হিপ ফ্রাকচার  কিনা। তাই জানুন যেসব লক্ষণে বুঝবেন হিপ ফ্রাকচার—

১. বসে থেকে উঠতে বা হাঁটতে সমস্যা অথবা অক্ষমতা
২. কুচকিতে তীব্র ব্যথা অনুভব করা
৩. পায়ের ওপরে ভর দিয়ে থাকতে অক্ষমতা
৪. আহত অঙ্গের চারপাশে ক্ষত বা ফুলে থাকা

এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এ ছাড়া হিপ ফ্রাকচারের সমস্যা এড়াতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা যেতে পারে। জানুন হিপ ফ্রাকচারের প্রতিকারে কী করবেন—

১. পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ নিয়ম হিসাবে ৫০ বা তার বেশি বয়সিদের দিনে অন্তত ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ৬০০ আন্তর্জাতিক ইউনিট ভিটামিন ডি গ্রহণ করা উচিত।

২. হাড়কে মজবুত ও ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ব্যায়াম করতে হবে। এ ছাড়া ব্যায়াম আমাদের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায় এবং পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম করে তোলে।

৩. ধূমপান করা বা অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ তামাক ও অ্যালকোহল ব্যবহারে হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে পারে।

৪. উঠে দাঁড়ানোর সময় ধীরে দাঁড়াতে হবে। তাড়াতাড়ি করে দাঁড়ানোর কারণে বা ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়ো করে দাঁড়ালে রক্তচাপ কমে যেতে পারে এবং এর ফলে মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫. বেশি বয়স হয়ে গেলে ঝুঁকি এড়াতে কোনো লাঠি বা ওয়াকারের সাহায্য নিয়ে হাটতে পারেন।

এসব সচেতনতা মেনে চলাচল করলে হিপ ফ্রাকচার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম হতে পারে।

তথ্যসূত্র: মায়োক্লিনিক ডট ওআরজি