রক্তেও পাওয়া গেল প্লাস্টিকের কণা

রক্তেও পাওয়া গেল প্লাস্টিকের কণা

রয়েল ভিউ ডেস্ক :
বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট ও সাগরের গভীরতম তলদেশ মারিয়ানা ট্রেঞ্চের পর এবার মাইক্রোপ্লাস্টিক বা প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা পাওয়া গেল মানুষের রক্তে, যা বাতাসে ভাসমান অতিক্ষুদ্র অন্যান্য কণার চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। এগুলো শরীরে দ্রবীভূত হয় না, ঘুরে বেড়ায় পুরো দেহে। একপর্যায়ে গিয়ে জমা হতে পারে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে।

প্লাস্টিকের কণায় এমন বহু রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা মানবশরীরে থেকে যেতে পারে আমৃত্যু বা কয়েক দশক। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

প্লাস্টিক কণা কোনো অঙ্গে প্রবেশ করে এর স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ধীরে ধীরে অচল করে দিতে পারে অঙ্গগুলোকে। হতে পারে ফুসফুসের রোগসহ নানা ধরনের ক্যান্সার। এই গবেষণা চালিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের ভ্রিজে ইউনিভার্সিটি আমস্টারডামের বিজ্ঞানীরা। তারা ২২ ব্যক্তির নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে তাদের ১৭ জনের রক্তেই তিন ধরনের প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণার উপস্থিতি পেয়েছেন। যেগুলোর ব্যাস প্রায় ০.০০০৭ মিলিমিটার।

শনাক্ত হওয়া প্লাস্টিক কণাগুলো হলো- পার অ্যান্ড পলিইথিলিন টেরেফথ্যালেট, পলিস্টাইরিন, পলিইথিলিন বা পলিথিন। এগুলো প্লাস্টিকের বোতল, খাবারের প্যাকেট বা ব্যাগ, বায়ুসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এর আগে এক গবেষণায় প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে ১০ গুণ বেশি প্লাস্টিক কণা পাওয়া গিয়েছিল শিশুদের মলে।