৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাতের সাদা সোনা লুটের ‘মহোৎসব’: গ্রেফতার ৩

রাতের সাদা সোনা লুটের ‘মহোৎসব’: গ্রেফতার ৩

কোম্পানীগঞ্জ সংবাদদাতা : দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর এলাকা  থেকে ‘পাথরখেঁকো’ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের ৩ জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ৮ পাথরখেঁকোকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালিবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র নিজাম, সাহেদ আলীর পুত্র কবির, গিয়াস উদ্দিনের পুত্র নুর হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়,  ভোলাগঞ্জ এলাকায় সক্রিয় 'পাথরখেকো' চক্রের সদস্যরা রাতের আঁধারে বারকি নৌকা নোঙর করে সাদা পাথর লুট করে আসছে। প্রথমদিকে লুণ্ঠিত পাথর স্থানীয় ক্রাশার মিল গুলোতে বিক্রি করা হত। এ প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশ বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে পাথর জব্দ এবং পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর আটক করে। পুলিশের অভিযানে পরবর্তিতে কৌশল পাল্টায় চক্রটি। তারা লুণ্ঠিত পাথর ধলাই নদীর বিভিন্ন স্পটে নদী তীরবর্তী জায়গায় পানিতে ফেলে রাখে। সুযোগ মতো আবার সেগুলো পানির তলদেশ থেকে তুলে নদীপথে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুদিন আগে চক্রটি শতাধিক বারকি নৌকা লুট করে ধলাই নদীর ইসলামপুর অংশে একটি স’মিলের সামনে পানিতে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করে মামলা দেয়। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান, বন্যার কারণে এক সপ্তাহ পাথর চুরি বন্ধ থাকলেও গত দুদিন ধরে আবারও পাথরখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। গতকাল বুধবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, রাতের আঁধারে পাথর চুরি রোধে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। ওই চক্রের অপর সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা আসেন ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে। পাথরখেকোদের কবল থেকে নান্দনিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত এ এলাকাটি রক্ষা করতে হবে। এজন্য তিনি স্থানীয় সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রসঙ্গত, দেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট ভারত থেকে নেমে আসা ধলাই নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকা স্থানীয়ভাবে ‘সাদা পাথর’ নামে পরিচিত।