শান্তিগঞ্জের কাঁচিভাঙ্গা হাওরের  নিলইক্ষা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ 

শান্তিগঞ্জের কাঁচিভাঙ্গা হাওরের  নিলইক্ষা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ 

\শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ)থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : পাহাড়ি ঢলে পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাঁচিভাঙ্গা হাওরের নিলইক্ষা আফার দিয়ে পানি প্রবেশ করে ১ হাজার ৪’শ ৫০ হেক্টর বোরো ফসল পানির তলিয়ে যাচ্ছে। 

পূর্ব পাগলা ও দরগাপাশা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কাঁচিভাঙ্গা হাওরের ছয়হাড়া গ্রামের দক্ষিণ পাশের নিলইক্ষা আফার দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে করে ছয়হারা, ডিগারকান্দি, আলমপুর, ধরাধরপুর, নাজিমপুর, ঘোড়াডুম্বুর, জালিয়া গ্রামের হাজার হাজার কৃষকের সোনার ফসল তলিয়ে যাওয়ায় ৮ হাজার ৭’শ টন ধানের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

হাওর পাড়ের একাধিক কৃষক কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, আমরা অনেক কষ্ট করে দার দেনা করে সোনার ফসল ফলিয়েছিলাম। অকাল বন্যায় হাওর তলিয়ে যাওয়ায় আমরা এখন নিঃস্ব। 
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর কাঁচিভাঙ্গা হাওরে ১ হাজার ৪’শ ৫০ হেক্টর বোরো ফসল চাষাবাদ হয়েছিল। কৃষকরা কিছু ধান কাটতে পেরেছেন। পানি হাওরে প্রবেশ করছে যে জায়গা দিয়ে তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ছিলনা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান জানান, এ বছর উপজেলার প্রত্যেকটি বাঁধ টেকসইভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। আকস্মিকভাবে পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিগত ১৯ দিন যাবৎ রাতদিন প্রত্যেকটি বাঁধে তদারকি করে আসছি। এখন পর্যন্ত প্রত্যেকটি বাঁধ অক্ষত রয়েছে। এটা একটা নদীর পাড়ের আফার। গ্রামবাসী ও আমাদের সহযোগিতার আফার (ছোট বাঁধটি) নির্মাণ করা হয়েছিল। পাহাড়ি ঢলে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় পানি নদীর পাড় উপছে গিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। আমরা এলাকাবাসীকে নিয়ে এখনও আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বাঁধটি রক্ষা করার জন্য।

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমেদ জানান, খবর পেয়ে আমি সারাদিন এই বাঁধে ছিলাম বাঁশ এবং বস্তার ব্যবস্থা করেছি। গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বাঁধটি রক্ষা করার জন্য।