সব প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ অপূর্ণ: পাকিস্তানের কে কীভাবে ক্ষমতা হারালেন

সব প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ অপূর্ণ: পাকিস্তানের কে কীভাবে ক্ষমতা হারালেন

রয়েল ভিউ ডেস্ক :
পাকিস্তানের সেই লিয়াকত আলী খান থেকে শুরু করে আজকের ইমরান খান, দেশটির কোনো প্রধানমন্ত্রীই এখন পর্যন্ত নিজের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। বিশ্বের আর কোনো দেশে এই রেকর্ড নেই। পাকিস্তান সরকারের একটি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বিজনেস টুডে দুইটি চার্টে তুলে ধরেছে দেশটিতে কোন প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ক্ষমতা হারিয়েছেন, কার মেয়াদ কতদিন ছিল, সেই হিসাব।

দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছিলেন। এরপর বেশ কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। কখনও সরকারকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে, কখনও বরখাস্ত করে বা কখনও সামরিক আইন জারি করে বার বার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী মোহম্মদ আলী বা পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মত কেউ কেউ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছেন। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপেও কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীর বিদায় হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা তিনজন প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

তবে পাকিস্তানের সবচেয়ে দুর্ভাগা প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত নওয়াজ শরিফ। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েও একবারও মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট তাকে বরখাস্ত করেন, দ্বিতীয়বার সামরিক আইন জারি হয় এবং তৃতীয়বার সুপ্রিম কোর্ট তাকে অযোগ্য ঘোষণা করেন।

১৯৪৭ সালের পর পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ২২ জন প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। এরমধ্যে একজন নারী প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন; বেনজির ভুট্টো।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর মেয়ে বেনজির ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর তার সরকার বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা আসেন বেনজির। সেবারও তিন বছর ১৭ দিন দায়িত্ব পালন করতে পেরেছিলেন সরকার বিলুপ্ত ঘোষণার কারণেই।

তবে ইমরান খানই পাকিস্তানের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যাকে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিতে হল। অনেক নাটকীয়তার পর শনিবার মধ্যরাতে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে হেরে যান তিনি।

অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে অর্থাৎ ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়ে ১৭৪টি। ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে প্রস্তাবটি পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট। এরপর আবার বিষয়টি সামনে এল, পাকিস্তানে এ পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদ শেষ করতে পারলেন না!