সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যা যা করা দরকার সে কাজগুলো করে যাচ্ছে : ফখরুল

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যা যা করা দরকার সে কাজগুলো করে যাচ্ছে : ফখরুল
ফাইল ছবি

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র ও নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারি কর্মকর্তারা কী করছেন, তাদের হিসাব-নিকাশও নেই। বর্তমানে যারা এমপি, চেয়ারম্যান আছেন, তাদের কাজের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা যা খুশি তা করছেন। ফলে আজ গোটা সিস্টেম ধ্বংস হয়ে গেছে। অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলছি, দেশের জনগণের বেঁচে থাকাটাই এখন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যা যা করা দরকার সে কাজগুলো করে যাচ্ছে। জনগণের যে স্বার্থ, সেটাকে তারা বিবেচনা করছে না। এজন্য তারা মুক্ত গণতন্ত্রকে বহু আগেই বিনষ্ট করে ফেলেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না, যাচ্ছি না। এটা আমাদের অপরিবর্তনীয় সিদ্ধান্ত। একটি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুলিশের নতুন আইজিপি নিয়োগের ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তত্ত্বাবধায়ক সকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি এবং বিরোধী দলীয় যারা আন্দোলন করছে, তারা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতা বহু আগেই আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। তারা বিভিন্ন আইন করেছে, এর মধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন দিয়ে সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে। সাংবাদিক হত্যা, নিপীড়ন চলছে। কেউ সাহস করে কিছু বলছে না, লিখছে না। যারা সুবিধাবাদী তারা ওই জায়গাগুলো থেকে সরতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের বিভিন্ন কিছু দিয়ে খুশি রাখা হয়েছে। তারা এ কারণে বলেন এ ধরনের সরকারই ভালো। এ জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। সেখানে বাংলাদেশ উন্নত দেশ কীভাবে করবেন, মধ্যম আয়ের দেশ কীভাবে করবেন। এগুলো সম্ভব না। এখানে তো কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। বিচার নেই। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। পুলিশকে দলীয়করণ করা হয়েছে, প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটিকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এখানে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে ১২ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে। তাহলে শিক্ষাক কীভাবে শিক্ষা দেবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।