সিলেটে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিনদিনব্যাপী ইজতেমা

সিলেটে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিনদিনব্যাপী ইজতেমা

স্টাফ রিপোর্টার : আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে সিলেট জেলা ইজতেমা শেষ হয়েছে। গতকাল শনিবার কল্লগ্রাম মারকাজের পাশের ময়দানে ইজতেমার সমাপনী দিনে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণসহ দেশের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এ সময় মাঠে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কণ্ঠে ‘আমিন, আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়। মোনাজাত করা হয় করোনাসহ মহামারি থেকে রক্ষার। 
তাবলীগ জামাতের মুরব্বী ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের অন্যতম মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিকুল ইসলাম আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে শুরু হওয়া মোনাজাত শেষ হয় ১১টা ৩৫ মিনিটে। এছাড়া তিনব্যপী এই ইজতেমায় তাবলীগ জামাতের অন্যতম মুরব্বি মাওলানা আব্দুল কাদির, মাওলানা তারেক মাহমুদ, মুফতি মাওলানা মুয়াজ বিন নূর, মুফতি ওসামা ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিনসহ বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বিরা হেদায়তি বয়ান পেশ করেন। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন সিলেটের মুরুব্বি ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম। তিনদিনব্যাপী মাহফিলে সিলেটের বিশিষ্ট রাজনৈতিক সামাজিক ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।  
গতকাল শনিবার দুপুরে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় এক ধর্মীয় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সকালে জেলা ইজতেমায় ফজরের নামাজের পর থেকে আখেরি মোনাজাতের পূর্ব পর্যন্ত ঈমান, আমল, ইকরামুল মুসলেমিনসহ তাবলীগের উসুলের ওপর এবং তাৎপর্যপূর্ণ হেদায়েতি বয়ান চলতে থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা ধ্যানে মশগুল হয়ে শুনতে থাকেন এসব বয়ান। পরে ধনী-গরিব এক হয়ে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে সিলেটের পার্শ্ববর্তী এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ ইজতেমার ময়দানে উপস্থিত হন। ছুটে আসেন নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-যুবক, কিশোর-শিশু নির্বিশেষে সবাই।
ইজতেমা ময়দানের আশপাশে, অনেকেই দূরে থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও মোনাজাতে শরিক হন। ইজতেমাস্থলে ছিল নানা আয়োজন। নানা ধরনের সেবা দেওয়ার দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে কল্লগ্রাম এলাকায় ৫  শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করেন। ইজতেমাস্থলে পানি সরবরাহ করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বিদ্যুৎ বিভাগ। 
এর আগে বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই জেলা ইজতেমা। এই ইজতেমায় ইসলামী জীবন বিধান ও ধর্মের আলোকে বয়ান করছেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বী ও দেশবরেণ্য আলেমগণ। ইজতেমায় শুক্রবার জুমার নামাজে বিপুল পরিমাণ মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।