২৭ ঘণ্টা পর বের করা হলো শিশুর গলায় আটকে থাকা সেফটি পিন

২৭ ঘণ্টা পর বের করা হলো শিশুর গলায় আটকে থাকা সেফটি পিন

রয়েল ভিউ ডেস্ক:

নুডলস খাওয়ার সময় তিন বছরের শিশু সোহানা আক্তার জিদনির গলায় আটকে যাওয়া সেফটি পিন ২৭ ঘণ্টা পর বের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা যন্ত্রের সাহায্যে শিশুটির গলায় আটকে থাকা সেফটি পিন বের করে আনেন।

সোহানা আক্তার জিদনি নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাগপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে। শুক্রবার রাতেই তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন স্বজনরা।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে মায়ের হাতে নুডলস খেতে গিয়ে শিশু সোহানা আক্তার জিদনির গলায় একটি খোলা সেফটি পিন আটকে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাত ১২টার দিকে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুল হাসান রাউন্ডে এসে জানান, শিশুটির অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু সেই ধরনের যন্ত্রপাতি এখানে নেই। সে জন্য দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। 

দুপরের দিকে জিদনিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রামেক হাসপাতাল ছেড়ে যান স্বজনরা।

শিশুটির সঙ্গে থাকা মা জুলেখা বেগম বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই যন্ত্রের সাহায্যে সেফটি পিনটি বের করে আনা হয়। রাত ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সকাল ৭টার দিকে আমরা বাড়ি ফিরে আসি। এখন জিদনি পুরোপুরি সুস্থ। 

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার প্রথমবার নুডলস মুখে নেওয়ার পর দ্বিতীয়বার জিদনির মুখে তুলে দেন তিনি। তখনই গলায় কাটা ফুটেছে বলে জানায় সে। এরপর বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কীভাবে গলায় সেফটি পিন গেল সেটি টের পাননি তিনি। মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জানান জুলেখা। -ঢাকা পোস্ট