এখন মণিপুরীরা নিজ মাতৃভাষাতেই রবীন্দ্র সংগীত গাইতে পারবেন

এখন মণিপুরীরা নিজ মাতৃভাষাতেই রবীন্দ্র সংগীত গাইতে পারবেন

স্বরলিপিসহ মোড়ক উন্মোচন হলো কবি প্রতীম কুমার সিংহ অনূদিত রবীন্দ্র সংগীত। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থের নাম দেয়া হয়েছে ‘নুংকুপী’। যার বাংলা চাতক পাখি। 

বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বললেন, এখন থেকে মণিপুরীরা নিজ মাতৃভাষাতেই রবীন্দ্র সংগীত গাইতে পারবেন। আর অনুবাদ না হলে সাহিত্যের বিস্তৃতি সীমাবদ্ধ থাকে। স্তব্ধ থাকে সংগীতের সুধা বিতরণ। এজন্য অনুবাদক ও স্বরলিপিকারকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা। আহ্বান জানান, গাওয়ার সময় যথাযথ সুর অনুসরণের। 

গত রোববার রাতে এটুজেড মিডিয়ার স্টুডিওতে নুংকুপী’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতি সিলেট জেলা শাখা। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রোটারিয়ান নির্মল কুমার সিংহ। সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহের পরিচালনায় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ রেনু ও সাংবাদিক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল। 

কবিগুরু রবি ঠাকুর রচিত ত্রিশটি রবীন্দ্র সংগীতের অনুবাদক ভারতের কবি, গীতিকার প্রতীম কুমার সিংহ তার বক্তব্যে বলেন, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্র সংগীতের স্বরলিপি করেছেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী পাপিয়া ভৌমিক। এখন থেকে নিজ মাতৃভাষাতেই রবীন্দ্র সংগীত গাইতে পারবেন বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীরা। তবে ভারতে বাঙালি শিল্পীরাও গাইছেন বলে জানান তিনি। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বপন কুমার সিংহ, মণিপুরী জন্মষ্টমী উদযাপন পরিষদ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মণিসেনা সিংহ, সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি উচিত কুমার সিংহ, মণিপুরী প্রকাশনা সংস্থা পৌরির সম্পাদক সুশীল কুমার সিংহ, পন্ডিত প্রসন্ন কুমার সিংহ, সমাজকর্মী রণজিত সিংহ, মাছিমপুর রবীন্দ্র স্মরণোৎসব’র সদস্য সচিব সাংবাদিক সুনীল সিংহ, চলচ্চিত্র পরিচালক উত্তম কুমার সিংহ, রোটারিয়ান শান্তি রাণী সিনহা, আইটি উদ্যোক্তা রঞ্জন সিংহ, উদ্যোক্তা অনির্বাণ সিংহ ও  সমাজকর্মী আরতি সিনহা প্রমুখ।
বক্তারা আরো বলেন, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীসহ ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের অতীত ইতিহাস অনেক গর্বের। ব্রিটিশ বিরোধী ভানুবিল কৃষক প্রজা আন্দোলন, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা কৃতজ্ঞতার দাবিদার। সেসব গৌরবগাঁথাও ক্রমেই উঠে আসা উচিত। বিশ্বকবি মণিপুরী নৃত্যকে বিশ্বনন্দিত স্বীকৃতির পথ তৈরি করে দিয়ে গেছেন। সিলেট নগরীর মাছিমপুরে কবির আগমন স্মৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। বিজ্ঞপ্তি