মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ : প্রধানমন্ত্রী

মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ  : প্রধানমন্ত্রী

রয়েল ভিউ ডেস্ক: শেখ হাসিনা বলেছেন, পলাশীর আম্রকাননে যেই স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, আওয়ামী লীগের হাতে সেটি ফের উদিত হয়। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষকে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেছে। যখন সংগঠনটি হয়, তখনো আমাদের নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার দায়ে জেলে ছিলেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষকে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার এনে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া এবং শহিদ মিনার নির্মাণ করার প্রকল্প আওয়ামী লীগই শুরু করেছিল। আমরা যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখন ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃত অর্জন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাঙালি শিক্ষা-দীক্ষা সবদিক থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিদের চেয়ে অগ্রগামী ছিলাম। সবসময় আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হতো। ৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জয়লাভ করে। কিন্তু বেশিদিন প্রাদেশিক ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। যে অল্প কয়েকদিন ক্ষমতায় ছিল সে সময়ের মধ্যে শেরাবাংলা যে সরকার গঠন করেছিলেন তার মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একজন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, মিরপুর সিরামিকের কথা আপনারা জানেন, সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ করার পরামর্শ তখন কাবানি গ্রুপকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৫৭ সালে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সিনেমা শিল্প নিয়ে আইন পার্লামেন্টে তোলেন এবং সেটা পাস করান। ঢাকা বিদ্যুৎ বোর্ড, ঢাকা ওয়াসা এবং তেজগাঁও শিল্প নগর সবই কিন্তু আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে তখন হয়েছে। তার বাদে কিছু হয়নি। শুধু তাই নয়, ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া এবং শহিদ মিনার নির্মাণ করার প্রকল্প আওয়ামী লীগই শুরু করেছিল। আমরা যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখন ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃত অর্জন করে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বাঙালির মুক্তির ৬ দফা দেন।  ৬ দফার ভিত্তিতে ৭০-এর নির্বাচন হয়। গোটা পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নেয়, যুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করি। বাঙালি জাতির বিজয় জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদা পায়। এই সংগঠন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মর্যাদা এনে দেয়। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ তিনি গড়ে দিয়ে যান। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়া কঠিন কাজ ছিল।