যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের  দাবিতে হাজার শিশু’র স্বাক্ষর

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের  দাবিতে হাজার শিশু’র স্বাক্ষর

রয়েল ভিউ ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা চালানো পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবি করেছে বাংলাদেশের হাজার শিশু। সেই বিচারের দাবিতে হাজার শিশুর স্বাক্ষরিত চিঠি জাতিসংঘের মহাসচিবসহ ১০০টি দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সকল বিচারকের কাছেও এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। 
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উন্মুক্ত মঞ্চে ঘাসফুল শিশু-কিশোর সংগঠন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান আব্দুল্লাহ বিপ্লব। এ সময় তিনি বলেন, ‘ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভুট্টোর মধ্যে সম্পাদিত সিমলা চুক্তির অধীনে পাকিস্তান ১৯৫ জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে দায়বদ্ধ। যদি তারা না করে তবে যেন আন্তর্জাতিক মহল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করে। চিঠির সাথে ঘাসফুল বাংলাদেশে পাকিস্তান বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা, ভয়াবহ নারী নির্যাতন, শিশু মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা সম্বলিত একটি স্মরণিকাও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি, পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি, লাটভিয়ার রাষ্ট্রপতিসহ বেশ কয়েকটি দেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এ বিষয়ে ই-মেইল এসেছে। মেইলে তারা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছেন। আগামী ২৮ জুলাই স্বাক্ষরকারী ২০০ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র তুলে দেব। কারণ এ দাবি বাস্তবায়নে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ১৯৫ জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করতে পাকিস্তানকে বাধ্য করা, গণহত্যা শুরুর কালরাত্রি ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা ও পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের আর্থিক পাওনা আদায়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন জুবায়ের আলম। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো চিঠি পড়ে শোনায় শিশু শিক্ষার্থী সালসাবিলা পশতু, রায়াত ও দিব্য। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল ফারুক গালিব, হাবিবুর রহমান ও চিঠিতে স্বাক্ষরকারী শিশুরা।