সুনামগঞ্জে ভাতিজার লাথিতে প্রাণ হারালেন বৃদ্ধ চাচা

সুনামগঞ্জে ভাতিজার লাথিতে প্রাণ হারালেন বৃদ্ধ চাচা

ডেস্ক রিপোর্ট: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার লাথিতে প্রাণ হারালেন চাচা। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ফতেপুর (চৌধুরী পাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইস্কান্দার আলী (৭০) ওই গ্রামের মৃত হারিছ উল্লার ছেলে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিরোধপূর্ণ জায়গায় পুকুরের পাড়সহ সীমানায় গাছ কাটতে শুরু করেন রুসমত আলীর পুত্র এখলাছ মিয়া, তিলুরাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুস ছোবহানের ছেলে আক্কাস আলী ও তার লোকজন। এতে বাধা দেন চাচা ইস্কান্দার আলী।

এ ঘটনায় আমজদ আলী, আব্দুল গফুর, আব্দুল মতিন গংরা জড়িত হলে দুই পক্ষে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এ সময় এখলাছ মিয়া লাথি মেরে ফেলে দেন চাচা ইস্কান্দর আলীকে। এতে ঘটনাস্থলেই ইস্কান্দর আলী নিহত হন। নিহত ইস্কান্দার আলী (৭০) ওই গ্রামের মৃত হারিছ উল্লার ছেলে।

ঘটনার মূল হোতা রুসমত আলীর ছেলে এখলাছ মিয়াকে (৪০) সুনামগঞ্জ থেকে আটক করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।

দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) রঞ্জয় চন্দ্র মল্লিক, দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামছউদ্দিন খান, এসআই সম্রাজ মিয়া, আতিয়ার রহমান, লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক জহিরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মাষ্টার প্রমুখ।

নিহতের পুত্রবধূ ইয়াছমিন বলেন, ভেকু দিয়ে মাটি কাটা ও গাছ কাটতে বাধা দেওয়ার কারণে তাঁর শশুরকে হত্যা করেছেন এখলাছ মিয়া, আক্কাস মিয়া, আব্দুল গফুর গংরা।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় এখলাছ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। নিহত ইস্কান্দর আলীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় এখলাছ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। নিহত ইস্কান্দর আলীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।